Sunday, December 29, 2019

Bangladesh Jamaat-e-Islami: সংগঠন, নিউজ পেপার-ম্যাগাজিন, ইসলামিক ই-বুক,, ওয়েবসাইট, ইসলামিক ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেজ-গ্রুপ সম্পর্কিত সকল লিংক



Official Website:

News Paper and Megazine:




Islamic Youtube Chanels:




Facebook Page and Group:

https://www.facebook.com/BJI.Official/


www.facebook.com/ArchiveBangladeshJamaateIslami/

Jamaat Dhaka City North

Jamaat Dhaka City South


Un-official:

Friday, December 27, 2019

গোলাম আজমের রুপরেখা বাস্তবায়ন হল বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান, তিউনিশিয়ার পর তুরস্কেও - সাংবাদিক নুরুল কবির



(নুরুল কবীর একজন বাংলাদেশী সাংবাদিক, লেখক, কলাম লেখক, সম্পাদক এবং কর্মী। তিনি দ্য নিউ এজের সম্পাদক। নৈর্বাচনিক স্বৈরতন্ত্র ও গণতন্ত্রের সংগ্রাম এবং দ্য রেড মাওলানা তার দুটি আলোচিত বই।)

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে নন্দিত এবং নিন্দিত একটি নাম গোলাম আজম । আমি ব্যক্তিগত ভাবে তাকে চিনি না । খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ আমার হয়নি । তবে তার লেখা অনেক বই পড়েছি ।  তার মেধার তুলনা তার বই । ছোটবেলা থেকেই আর নয় জন বাংলাদেশীর মত আমিও তাকে ঘৃণা করেই বড় হয়েছি হলুদ মিডিয়ার কল্যাণে । “আর নয়জন” বললাম একারনে দশজনের একজন তার বা তার আদর্শেরপক্ষে ছিল ।ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা “র” এর এক জরিপ ছিল এমন যে “শতকরা ২৫ জন জামায়াতের সমর্থক বাংলাদেশে” ২০০৯ এর পরে তাকে/ তাদের সম্পর্কে জানার সুযোগ হয় আমার । এখনও কম বেশী জানার চেষ্টা করছি । আমি সব সময় বিতর্কিত মানুষকে পছন্দ করতাম যারা দেশ ব্যাপি বিশ্বব্যাপি বিতর্কিত এমন সব লোক । আমার লজিক পৃথিবীর সব বহুল বিতর্কিত ব্যক্তিরাই ছিল জ্ঞানী , স্বরণীয়, বরণীয় ।সেটা হিটলার থেকে মুছোলিনী, চেঙ্গিস খান থেকে নেপোলিয়ান, শেখ মুজিব থেকে গোলাম আজম । আজকের বিষয় গোলাম আজম ।

মেধাবী চৌকস ও অভাবনীয় নেতৃত্বের গুণাবলীসম্পন্ন ক্ষণজন্মা মানুষটি ১৯২২ সালে ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে সম্পৃক্ত হন ছাত্র আন্দোলনের সাথে। ১৯৪৭-৪৮ ও ৪৮-৪৯ সালে পরপর দু’বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)-এর জিএস (জেনারেল সেক্রেটারি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নিয়ে পাকিস্তান সরকার ৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়অংশ নিয়ে পাকিস্তান সরকার কারা নির্যাতিত হন। এই মহান নেতা ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। শেখ মুজিব কর্তৃক ’৬৬ সালের ছয় দফা দাবি তৈরিতে অংশ নেয়া ২১ সদস্যের অন্যতম।

১৯৫০ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত তিনি রংপুর কারমাইকেল কলেজে অধ্যাপনা করেন। ১৯৫৪ সালে যোগদান করেন জামায়াতে ইসলামীতে এবং প্রত্যক্ষভাবে শুরু করেন রাজনৈতিক জীবন। অখ- পাকিস্তানে ১৯৫৫ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। কপ (কম্বাইন্ড অপজিশন পার্টি) পিডিএম (পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট) এর সেক্রেটারী জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন।  ডাক (ডেমোক্রেটিক এ্যাকশন কমিটি) ইত্যাদি আন্দোলনে জনাব শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্য সকল দলের নেতাদের সাথে অংশগ্রহণ করে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। রাজনৈতিক কারণে ১৯৬৪ সালেও তাকে কারাবরণ করতে হয়েছিল ।

১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান ঢাকায় আসেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়াম মাঠে ছাত্রদের উদ্দেশে ভাষণ দেন। তাকে ২৭ নবেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি সংবলিত একটি ঐতিহাসিক স্মারকলিপি প্রদান করা হয় যার নেতৃ্ত্ব দেন গোলাম আজম ।

তার ছোট্ট একটা বর্ণনা দিলাম এ কারনে তার সত্য সম্পর্কে আমরা খুব কম জেনেছি । ৯১ বছর বয়সে ৯০ বছর সাজা পাওয়া এ মানুষটি সম্পর্কে জানা উচিৎ আমাদের নতুন প্রজন্মের । ৭১ এর মহান মুক্তিযু্দ্ধ নিয়ে তাকে সবচেয়ে বিতর্কিত হতে হয়েছে । যারা ৪৭ এর দেশ ভাগ দেখেছে । দেখেছে বিশাল ভারতের নোঙরামি । কিভাবে ছোট ছোট দেশ গুলোকে নপুংশুক এর মত গিলে খেতে (উদা: স্বাধীনদেশ "সিকিম") তাদের পক্ষে ৭১এ সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন ছিল । ১৯৪ বছর ইংরেজদের কাছে পরাধীন থাকার পর যে মুসলিমরা আলাদা দেশ পেল সে দেশ আবার হাত ছাড়া হয়ে যাবে ,ভাগ হয়ে যাবে । এটা মানতে পারছিল না তারা । যেমন মানতে পারছিল না সদ্য পাওয়া নতুন দেশ পাকিস্তানের সাশকদের অত্যাচার ও । ইন্দিরা গান্ধিরা যখন বার বার এ কথা বলে বেড়ােতা সভা সমাবেশে "মাথার এক পাশে ব্যাথা থাকলে বাঁচা জায় কিন্তু মাথার দুই পাশে ব্যাথা নিয়ে ঘুমানো মুশকিল" ভারতের দুই পাশে দুই মুসলিম দেশ পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান কে উদ্ধেশ্য করে ছিল এমন বক্তব্য। 
 তার জানাজা নামাজের দিন গিয়েছিলাম, যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত একজন মানুষের এমন শোক মিছিল দেখে আমার মত অবাক হয়েছিল এ দেশের সকল গনমাধ্যম,বিশ্বমিডিয়া । বহুল বিতর্কিত ছিল তার অভিযোগ । ট্রেয়াল দেয়া শাক্ষি । ৪৩ নাম্বার আসামির যদি ৯০ বছর সাজা হয় তাহলে বাকি ৪২ জনের নামও কেন জাতি জানেনা । নতুন প্রজন্মের কাছে আজীবন এটা কৌতুহল থেকে জাবে আ,লীগ সহ তার বিরোধীর কাছে । ২০১২ তে গোলাম আজম যুদ্ধাপরাধীর আসামি হলে । ৯৪ তে কিভাবে আ,লীগের কাছ থেকে মন্ত্রীর প্রস্তাব পাঠায় । কি ভাবে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী আবদুস সাত্তারকে জায়নামাজ, তসবি দিয়ে কদমবুচি করতে পাঠায় খোদ দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা । আরো অসংখ প্রশ্ন হয়তো মাথায় আসবে নতুনদের । যার উত্তর হয়তো কেউই দিবে না ।

১৯৮০’র দশকে এবং ১৯৯০ সালে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে এবং ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে বিএনপি’র বিরুদ্ধে আন্দোলনে জামায়াত ও আওয়ামী লীগ যুগপৎ আন্দোলন করেছিল । একটি সুষ্ঠ পদ্ধতিতে নির্বাচনের জন্য যখন কোন ফর্মুলাই কাজে আসছিলনা । তখন গোলাম আজম কেয়ারটেকার পদ্ধতি আবিষ্কার করলেন । কিছুটা বিরোধীতা থাকলেও একটা পর্যায় সকলেই বলতে বাধ্য হন এর থেকে ভাল দ্বিতীয় কোন পথ নেই । দেশে বিদেশে উচ্ছসিত প্রসংশা পায় । যারা একটা সময় এক সাথে আন্দোলন করে কেয়ারটোকার পদ্ধতি চালু করলেন আবার সেই তারাই তাদের স্বার্থে সেটার বিলুপ্তি করে দেন । যার খেসারত আজো দিচ্ছে বাংলাদেশ । যে গণতন্ত্র উত্তরণে ৯০-এ তার কেযারটেকার পদ্ধতি জাতিকে দিয়েছিল মুক্তির দিশা । কিন্তু অবাক করার বিষয় হচ্ছেনির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পথিকৃত মনে করা হয় বাংলাদেশকে। এ ব্যবস্থা চালু করে বাংলাদেশ এক সময় বিশ্বে প্রশংসা কুড়িয়েছিল। আওয়ামী লীগ এ ব্যবস্থার জন্য কৃতিত্ব দাবি করলেও এই দলটিই আবার ব্যবস্থাটি বাতিল করে দিয়েছে, যার জের ধরে বাংলাদেশ রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
আওয়াম লীগ সরকার সংবিধান পরিবর্তন করে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দিলেও নেপাল, পাকিস্তান, তিউনিশিয়া সহ বহু দেশই এখন এ ব্যবস্থাকে গ্রহণ করেছে। সর্বশেষ এই তালিকায় যোগ হচ্ছে তুরস্কের নাম।

ড.মুহাম্মদ শহিদুল্লাহর একটি লেখা পড়ছিলাম “যে দেশে গুণিদের কদর করতে জানেনা, সে দেশে গুণি জন্মে না” ড. শহিদু্ল্লাহ নেই তার কথা আছে । গোলাম আজম নেই তার দেখানো পদ্ধতিতে আজো সমাধান খুঁজে পায় বিশ্বের বিভিন্ন্ প্রান্তে ।

Monday, December 23, 2019

জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে যুদ্দাপরাধের অভিযোগ সম্পর্কে ব্যারিষ্টার আবু বকর মোল্লা ও মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী

(একবার ক্লিক করে ভিডিও চালু না হলে ২য় বার ক্লিক করুন)


বিঃদ্রঃ এই পোষ্টে  ভিডিও আছে। যদি ভিডিও দেখা না যায় তাহলে আপনার কম্পিউটারে Adobe flash player ইনস্টল সেটাপ করুন । গুগুলে যেয়ে Adobe flash player লিখে সার্চ করে ডাউনলোড করে ইনস্টল করুন।

Friday, December 20, 2019

বিশ্বব্যাপী দ্বীন ইসলামের পূনরুত্থানে এবং মানব কল্যাণে জামায়াতে ইসলামীর অবিস্মরণীয় সাফল্য

-  শাহাদাতুর   রহমান   সোহেল   

বর্তমানে বিশ্বব্যাপী দ্বীন ইসলামের পূনরুত্থানে এবং মানব-কল্যাণে জামায়াতে ইসলামীর অবিস্মরণীয় অবদান রয়েছে।অন্য অনেক দলের দেশভিত্তিক ছোট ছোট অবদানকেও অনেক বড় করে তুলে ধরা হয়। কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর বিশ্বব্যাপী  অবিস্মরণীয় অবদান থাকার পরও এর যৎসামান্য প্রচারও করা হয় না -এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এটা কোরআনের নির্দেশেরও  খেলাফ। পবিত্র কোরআনে সুরা আদদোহায় বলা হয়েছে: “ওয়া আম্মা বিনি’মাতি রাব্বিকা ফাহাদ্দিশ” অর্থাৎ “তোমাদের যে নিয়ামত দেয়া হয়েছে তা মানুষের কাছে প্রচার করে দাও”। সর্ব পর্যাযের জনশক্তির উৎসাহ-উদ্দীপনা বৃদ্ধির জন্যও এটা করা উচিত। জামায়াতে ইসলামীর অবিস্মরণীয় অবদান সম্পর্কে কিছু তথ্য এখানে কিছু পোষ্টে তুলে ধরা হলো:













13) ইফসু(IFSO) এবং এবং আন্তর্জাতিকক্ষেত্রে শিবিরিনেতা ডাঃ সৈয়দ আবদুল্লাহ মোঃ তাহেরের তৎপরতা

14)  ও, আই, সি, গঠন ও জামায়াতে ইসলামীর অবদান

15)  মালয়েশিয়ার ইসলামী আন্দোলন, আনোয়ার ইব্রাহীম এবং জামায়াতে ইসলামী

16) বসনিয়া-হার্জেগোভিনার স্বাধীনতা অর্জন, এর মর্মন্তুদ ইতিহাস ও প্রভাব-প্রতিক্রিয়া এবং জামায়াত ইসলামী

17) কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ এবং জামায়াতে ইসলামী

18) খোলা চোখে বাংলাদেশের জন্য জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের অবদান

19) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে উদ্দেশ্য করে তুরস্কের প্রখ্যাত আলেম নুরুদ্দিন ইলদিজের লেখা একটি চিঠি।

20)  মিশরে ইখওয়ানুল মুসলেমীন, বিশ্বব্যাপী এর বিস্তার এবং জামায়াতে ইসলামী

21)  বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস এবং অবদান


23) গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী

24) শিবির সভাপতি ব্যারিষ্টার হামিদ হোসাইন আজাদের বিশ্বব্যাপী মানবসেবায় নেতৃত্ব প্রদান

25) তুরস্কে অনুষ্ঠিত হওয়া ESAM কনফারেন্সে শহীদ মাওলানা নিজামীকে নিয়ে প্রেজেন্টেশন...

26) ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা ও আন্তর্জাতিকভাবে এর বিস্তার এবং জামায়াতে ইসলামী

27) সুদানে ইখওয়ানুল মুসলেমিনের সাফল্য এবং জামায়াতে ইসলামী

28) অধ্যাপক গোলাম আযমের ফর্মুলায় নোবেল বিজয় - মুহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত






উপরে কিছু অবদান তুলে ধরা হলো। পরে আরো দেয়া হবে ইনশাল্লাহ। এসব তুলে ধরার উদ্দেশ্য উল্লাস-অহংকার সৃষ্টি নয়। মনে রাখতে হবে হযরত সোলাইমান (আঃ)-এর এই প্রবাদতুল্য উক্তি: “অহংকার পতনের মূল”। এসবের উদ্দেশ্য ২টি: ১) আল্লাহ’র শুকরিয়ার জযবা তৈরী এবং ২) উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি করে ইসলামী আন্দোলনের কাজকে অধিকতর এগিয়ে নেয়া। এর জন্য মহান আল্লাহ আমাদের তৌফিক দান করুন, আমীন। 


Thursday, December 19, 2019

১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে আল্লামা সাঈদীর ভূমিকা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মন্তব্য: সাঈদীর মুক্তি চেয়ে ৫১ মুক্তিযোদ্ধার স্মারকলিপি

আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী যখনই রাজনৈতিক অঙ্গনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা শুরু করলেন, তখনই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হলো তিনি নাকি স্বাধীনতাযুদ্ধের বিরোধী ছিলেন। অথচ তাঁর নিজ এলাকার সকল ধর্মের সাধারণ মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধারা সাক্ষ্য দিয়েছেন, তিনি রাজাকার, আল বদর, আল-শাসসের সদস্য ছিলেন না।
মহান মুক্তিযুদ্ধে নবম সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব:) জিয়াউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে সাঈদী স্বাধীনতাবিরোধী, রাজাকার, আল বদর, আল শাম্স, শান্তি কমিটির সদস্য বা যুদ্ধাপরাধী ছিলেন না। এসবের তালিকায় কোথাও তার নাম নেই।’
মহান মুক্তিযুদ্ধে নবম সেক্টরের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম তালুকদার বলেন, ‘আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত যুদ্ধাপরাধ তত্ত্ব-উপাত্ত ও সাক্ষী সবই মিথ্যার ওপরে প্রতিষ্ঠিত। কারণ আমরা নবম সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব:) জিয়াউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে পিরোজপুরে হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি ও পিরোজপুরকে শত্রুমুক্ত করি। তিনি স্বাধীনতাবিরোধী কোন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। মুক্তিযুদ্ধে তার মানবতাবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী কোনো ভূমিকা থাকলে তা আমাদের আগে বা আমাদের চেয়ে বেশি অন্য কারো জানার কথা নয়। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণেই তাকে যুদ্ধাপরাধী বলা হচ্ছে।’
পিরোজপুরের সাবেক সংসদ সদস্য, যুদ্ধকালীন কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী নুরুজ্জামান বাবুল বলেন, ‘৭১ সালে আমি সুন্দরবনে মেজর (অব:) জিয়াউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে যুদ্ধ পরিচালনা করেছি। আমরাই পিরোজপুর শত্রুমুক্ত করেছি। ’৭১ সালে পাড়েরহাট-জিয়ানগরের সব রাজাকার এবং যুদ্ধাপরাধীদের ধরে নিয়ে সুন্দরবনে হত্যা করা হয়েছে। আল্লামা সাঈদী যদি রাজাকার বা যুদ্ধাপরাধী হতেন তাহলে তার জীবিত থাকার কথা নয়।’
যুদ্ধকালীন ইয়ং অফিসার, বীর মুক্তিযোদ্ধা এমডি লিয়াকত আলী শেখ বাদশাহ বলেন, আল্লামা সাঈদী রাজাকার বা যুদ্ধাপরাধী ছিলেন না। এসবের তালিকাতেও তার নাম নেই। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আল্লামা সাঈদী স্বাধীনতাবিরোধী কোন কর্মকাণ্ড করেছেন বলে আমি শুনিনি, দেখিওনি।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান বাহাদুর বলেন, ‘আল্লামা সাঈদীর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বাম ঘরানার নেতারা এবং পিরোজপুরের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা মিথ্যা মামলা সাজিয়ে আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে যে নাটক প্রচার করেছে তা গোয়েবলসকেও হার মানিয়েছে। সাঈদীর বিরুদ্ধে করা যুদ্ধাপরাধ মামলা সাজানো এবং ষড়যন্ত্রমূলক তা জনগণের সামনে দিবালোকের মতো স্পষ্ট।’
এভাবে মুক্তিযুদ্ধে পিরোজপুর জেলার সাবেক কমান্ডার গৌতম রায় চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধে পিরোজপুর জেলার সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মুনান, পিরোজপুর পৌরসভার কমিশনার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বাতেন, মুক্তিযুদ্ধে পাড়েরহাটের ক্যাম্প কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: খসরুল আলম, নাজিরপুরের যুদ্ধকালীন ডেপুটি কমান্ডার অ্যাডভোকেট শেখ আব্দুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধকালীন ইয়ং কমান্ডার খন্দকার রেজাউল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আ: সালাম তালুকদারসহ পিরোজপুরের স্বনামধন্য প্রায় সকল মুক্তিযোদ্ধা বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে আল্লামা সাঈদীর সামান্যতমও বিতর্কিত ভূমিকা ছিলো না।
(তথ্যসূত্র : যুদ্ধাপরাধ নয় জনপ্রিয়তাই আল্লামা সাঈদীর অপরাধ। লেখক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকাররম হোসেন কবির, মুক্তিযোদ্ধা নং ম ১৬৩৯)

সাঈদীর মুক্তি দাবি : প্রধানমন্ত্রীকে ৫১ মুক্তিযোদ্ধার স্মারকলিপি

স্টাফ রিপোর্টার
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির, সাবেক সংসদ সদস্য এবং প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন পিরোজপুরের সাবেক সংসদ সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক যুগ্ম মহাসচিবসহ বৃহত্তর বরিশালের ৫১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। গতকাল বাংলাদেশ ডাক বিভাগের গ্যারান্টিড এক্সপ্রেস পোস্টের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি পাঠানো হয়েছে।
স্মারকলিপিতে সব মামলা প্রত্যাহার করে মাওলানা সাঈদীর মুক্তি দাবি করে মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় মাওলানা সাঈদীর কোনো বিতর্কিত ভূমিকা ছিল না। দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হোক, তা আমাদের প্রাণের দাবি; কিন্তু এ বিচারের নামে কোনো নির্দোষ ব্যক্তি যেন দণ্ডিত না হন, কেউ যেন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার না হন। তারা আরও বলেন, মাওলানা সাঈদীর মতো সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেমকে যে অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা নিতান্তই হাস্যকর, কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন।
মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, কারা স্বাধীনতার পক্ষে ও বিপক্ষে ছিলেন তা বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরকাল লেখা থাকবে এবং এ ইতিহাস কেউ কখনও মুছে ফেলতে পারবে না। তারা বলেন, তদানীন্তন পিরোজপুর মহকুমাসহ বৃহত্তর বরিশালের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধারা স্পষ্টভাবে ঘোষণা করতে চান, মহান মুক্তিযুদ্ধে মাওলানা সাঈদীর বিতর্কিত কোনো ভূমিকা ছিল না। তিনি রাজাকার, আল বদর, আল শামস, শান্তি কমিটির সদস্য, যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী কোনো কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। ১৯৭১ সালে প্রণীত এ সম্পর্কিত কোনো তালিকাতেও তার নাম নেই। মুক্তিযুদ্ধকালীন ৯ মাস মাওলানা সাঈদী পাড়েরহাট বন্দরে আমাদের চোখের সামনেই ছিলেন। তিনি স্বাধীনতাবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে তার মানবতাবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী কোনো ভূমিকা থাকলে তা আমাদের আগে বা আমাদের চেয়ে বেশি অন্য কারও জানার কথা নয়। মাওলানা সাঈদী মুক্তিযুদ্ধে সামান্য বিতর্কিত ভূমিকাও পালন করেননি উল্লেখ করে তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত সরকারি দলিলপত্রও তার নির্দোষ প্রমাণ করে।
স্মারকলিপিতে স্বাক্ষরকারী মুক্তিযোদ্ধারা হলেন—পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার গাজী নুরুজ্জামান বাবুল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব শামছুল আলম তালুকদার, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান মো. লিয়াকত আলী শেখ বাদশা, পৌরসভা কাউন্সিলর আবদুস সালাম বাতেন, সাবেক কমিশনার আবদুর রাজ্জাক মুনান, খসুল আলম, খন্দকার রেজাউল আলম শানু, অ্যাডভোকেট শেখ আবদুর রহমান, হাবিবুর রহমান বাহাদুর, আবদুস সালাম হাওলাদার, মোশাররফ হোসেন, আবু তালেব সেপাই, ডা. আলতাফ উদ্দিন আহমেদ, আবুল হোসেন তালুকদার, মোকাররম হোসেন কবীর, প্রকৌশলী মতিউর রহমান, অধ্যাপক ফরহাদ মুন্সি প্রমুখ।

 Source: http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/10/29/51150

Wednesday, December 18, 2019

জামায়াতের ভবিষ্যৎ প্রতিপক্ষরা নির্ধারণ করতে পারবে না- গোলাম মওলা রনি

পূর্ণাঙ্গ ইসলামই হলো  জামায়াতে ইসলামীর আদর্শ। গোলাম মওলা রনির বক্তব্য শুনুন। কিছু হলেও প্রেরণা দেবে:  

বর্তমানে তুরস্কের বিজয়ী ইসলামী শক্তির সাথে জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কের নানা খন্ডচিত্র এবং অন্যান্য।

-  শাহাদাতুর   রহমান   সোহেল 

                    তুর্কী ওসমানী খেলাফত ১৪শ থেকে প্রারম্ভিক ২০শ শতাব্দীর শুরু প্রায় ৬ শত বছর পর্যন্ত মুসলিম উম্মাহ’র নেতৃত্ব প্রদান করে এবং তারা  সম্স্ত দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপ দখল  করে। তারা দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপ, পশ্চিম এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকার বেশিরভাগ অঞ্চল প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণ করত। ১৯২৪ সালে তুর্কী খেলাফতের পতনের পর কামালের চরম সেকুলার শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় এবং মুসলিম উম্মাহ ইসলামী নেতৃত্বশূণ্য হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় ইখওয়ান-জামায়াতের প্রেরণা ও সহযোগিতায় তুরস্কে ইসলামকে পূনরায় বিজয় করার সংগ্রাম গড়ে উঠে এবং বিস্তার লাভ করে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাথেও তাদের নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠে। তুরস্কে ইখওয়ান-জামায়াতের সামগ্রিক তৎপরতা অত্যন্ত ব্যাপক। এখানে তুরস্কের প্রাধান্যশীল ইসলামী আন্দোলনের সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সম্পর্কের কিছু খন্ডচিত্র ও এর সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য কিছু বিষয় নীচে দেওয়া হলো: 

১) তুরস্কে ইসলামী শক্তির বিজয়, ড: নাজমুদ্দীন আরবাকান এবং জামায়াত ইসলামী

২) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে উদ্দেশ্য করে তুরস্কের প্রখ্যাত আলেম নুরুদ্দিন ইলদিজের লেখা একটি চিঠি।

৩) তুরস্কে মাওলানা মওদুদী ও তাফহীমুল কুরআনের প্রভাব










             মুসলিম উম্মাহ’র নেতৃত্বদানকারী এবং বর্তমান বিশ্বে একটি প্রাধান্যশীল দেশ তুরস্কে ইখওয়ান-জামায়াত সম্পর্কিত শক্তির ব্যাপক সাফল্য অত্যন্ত উৎসাহব্যাঞ্জক। তবে কাজ এখনো অনেক বাকী। আমরা কায়মনোবাক্যে দোয়া করি- মহান আল্লাহ উক্ত ইসলামী আন্দোলনকে তুরস্কে আরো এগিয়ে যাওয়ার এবং চুড়ান্ত মঞ্জিলে-মকসুদে পৌঁছার তৌফিক দান করুন, আমিন। তবে আল্লাহ না করুন, দেশী-বিদেশী শক্তির চক্রান্তে যদি সাময়িক কোন বিপর্যর আসে হতাশ হওয়া যাবে না। বার বার চেষ্টা করেও যখন এ শক্তিকে দমিয়ে দেয়া যায়নি, বরং অধিকতর শক্তি সঞ্চয় করে পূণরুত্থান ঘটেছে তখন আগামীতেও এ শক্তি আরো এগিয়ে যাবে ইনশা-আল্লাহ। 

রিসেপ তাইয়্যেব এরদোগান, খেলাফতের পূণরুদ্ধার নিয়ে এক বিশেষ ভিডিও দেখুন প্লীজ


Sunday, December 15, 2019

আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর ভবিষ্যদ্বাণী: আমাদের করণীয় কি?


জামায়াতে ইসলামী নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী এবং আমাদের করনীয়:
(একবার ক্লিক করে ভিডিও চালু না হলে ২য় বার ক্লিক করুন)

Popular Posts