সিজদাকে মানবদেহের ক্ষতিকর ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক তরঙ্গ নিষ্ক্রিয় করার উৎকৃ্ষ্ট উপায় বর্ণনা করেছেন এক ইউরোপীয় বিজ্ঞানী।
তিনি বলেছেন ,'মানুষের শরীর প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক তরঙ্গ গ্রহণ করে।আপনার প্রাত্যাহিক ব্যবহৃত এমন সব যন্ত্র থেকেই এই তরঙ্গগুলো আপনাকে গ্রহণ করতে হচ্ছে।যেমন,গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ,ক্যাল্কুলেটর,মোবাইল,রিমোট কন্ট্রোল,টিভি ইত্যাদি।রাতে যে আলো পাচ্ছেন ,সেই বাতি থেকেও এই তরঙ্গগুলো আমাদের দেহে প্রবেশ করছে।অথচ এই গুলো এড়িয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ আমাদের নেই।একভাবে বলাযায়,এই বৈ্দ্যুতিক তরঙ্গ গুলো হজম করার উল্লেখযোগ্য সোর্স আমরা।এর ফলে কী হচ্ছে? মাথাব্যথায় কুঁকড়ে যাচ্ছি,অস্বস্তি অনুভব করছি,আলস্য ঘিরে ধরছে আমাদের এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ব্যথার সৃষ্টি করছে। এমনকি শেষ পর্যন্ত ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধি দ্বারা আমরা আক্রান্ত হচ্ছি।
এর সমাধান কী?ইউরোপের ওই অমুসলিম বিজ্ঞানী এ নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করে দেহের ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক চার্জ অপসারণের যে সর্বোৎকৃ্ষ্ট উপায় বের করেছেন তা হলো,যদি কপালকে একাধিকবার মাটিতে রাখা হয়,এতে ক্ষতিকর পজিটিভ ইলেকট্রো-ম্যাগনেটক চার্জ অপসারিত হয়।বজ্রপাতের মতো পজিটিভ ইলেকট্রনিকের সিগন্যালগুলো যেমন গ্রাউন্ডের মাধ্যমেই নিষ্ক্রিয় হয়,বিষয়টি ঠিক সে রকম। তিনি সবাইকে কপালকে মাটির সাথে লাগিয়ে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ইলেক্ট্র-ম্যাগনেটিক সিগন্যাল গুলো নিষ্ক্রিইয় করার জন্য।কপালকে বালুর সাথে লাগিয়ে রাখার জন্য উৎকৃষ্ট বলে গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে।পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলের দিকেই মাথা রেখে কপালকে গ্রাউন্ডের সাথে ঠেকিয়ে রাখাকে এ লক্ষ্য অর্জনের উপায় হিসেবে বলেছেন।তিনি জানান, এতে ক্ষতিকর চার্জ গুলো অপসারণ সম্ভব।
এ প্রসঙ্গে ইন্টারনেটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে,এখানে আশ্চর্য জনকভাবে সত্য যে,মক্কাই বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল এবং পবিত্র কাবাই পৃথিবীর একেবারে কেন্দ্রবিন্দু। এতে যে বিষয়টি পরিষ্কার তা হলো,দেহ থেকে ক্ষতিকর ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক সিগন্যালগুলো অপসারণের সর্বোত্তম উপায় হলো সিজদা করা, যা মুসলমানরা পাঁচ বেলা নামাযে করে থাকে।এমন একটি সৃষ্টশীল উপায়ে যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, সেই আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের আদর্শ পথও এটি।
যে মন্তব্যের মাধ্যমে ওই নিবন্ধের সমাপ্তি ঘতে,তা হলো, মানুষের বিশ্বাস করা ও জানা উচিত,তারা স্রষ্ঠার নির্দেশ পালন করতে গিয়ে যা করবে, তা নেহাত নিজের প্রয়োজনেই করবে।
Source: http://www.dailynayadiganta.com/
নামাযের আগে কিছুক্ষণ নামাযের মোরাকাবা [নামায সম্পর্কে চিন্তা] করা উচিত। প্রতীক্ষা ছাড়া যে নামায হয় তা হয় প্রাণহীন, হালকা নামায। সুতরাং নামাযের আগে নামায সম্পর্কে চিন্তা করা উচিত।
-----তবলীগ জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা হযরত মৌলানা ইলিয়াস [রহ]