Showing posts with label ইসলামী ইবাদত. Show all posts
Showing posts with label ইসলামী ইবাদত. Show all posts

Wednesday, August 16, 2017

ইউরোপীয় বিজ্ঞানীর দৃষ্টিতে নামাজের অসাধারণ উপকারিতা



সিজদাকে মানবদেহের ক্ষতিকর ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক তরঙ্গ নিষ্ক্রিয় করার উৎকৃ্ষ্ট উপায় বর্ণনা করেছেন এক ইউরোপীয় বিজ্ঞানী।

তিনি বলেছেন ,'মানুষের শরীর প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক তরঙ্গ গ্রহণ করে।আপনার প্রাত্যাহিক ব্যবহৃত এমন সব যন্ত্র থেকেই এই তরঙ্গগুলো আপনাকে গ্রহণ করতে হচ্ছে।যেমন,গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ,ক্যাল্কুলেটর,মোবাইল,রিমোট কন্ট্রোল,টিভি ইত্যাদি।রাতে যে আলো পাচ্ছেন ,সেই বাতি থেকেও এই তরঙ্গগুলো আমাদের দেহে প্রবেশ করছে।অথচ এই গুলো এড়িয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ আমাদের নেই।একভাবে বলাযায়,এই বৈ্দ্যুতিক তরঙ্গ গুলো হজম করার উল্লেখযোগ্য সোর্স আমরা।এর ফলে কী হচ্ছে? মাথাব্যথায় কুঁকড়ে যাচ্ছি,অস্বস্তি অনুভব করছি,আলস্য ঘিরে ধরছে আমাদের এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ব্যথার সৃষ্টি করছে। এমনকি শেষ পর্যন্ত ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধি দ্বারা আমরা আক্রান্ত হচ্ছি।
এর সমাধান কী?ইউরোপের ওই অমুসলিম বিজ্ঞানী এ নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করে দেহের ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক চার্জ অপসারণের যে সর্বোৎকৃ্ষ্ট উপায় বের করেছেন তা হলো,যদি কপালকে একাধিকবার মাটিতে রাখা হয়,এতে ক্ষতিকর পজিটিভ ইলেকট্রো-ম্যাগনেটক চার্জ অপসারিত হয়।বজ্রপাতের মতো পজিটিভ ইলেকট্রনিকের সিগন্যালগুলো যেমন গ্রাউন্ডের মাধ্যমেই নিষ্ক্রিয় হয়,বিষয়টি ঠিক সে রকম। তিনি সবাইকে কপালকে মাটির সাথে লাগিয়ে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ইলেক্ট্র-ম্যাগনেটিক সিগন্যাল গুলো নিষ্ক্রিইয় করার জন্য।কপালকে বালুর সাথে লাগিয়ে রাখার জন্য উৎকৃষ্ট বলে গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে।পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলের দিকেই মাথা রেখে কপালকে গ্রাউন্ডের সাথে ঠেকিয়ে রাখাকে এ লক্ষ্য অর্জনের উপায় হিসেবে বলেছেন।তিনি জানান, এতে ক্ষতিকর চার্জ গুলো অপসারণ সম্ভব।
এ প্রসঙ্গে ইন্টারনেটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে,এখানে আশ্চর্য জনকভাবে সত্য যে,মক্কাই বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল এবং পবিত্র কাবাই পৃথিবীর একেবারে কেন্দ্রবিন্দু। এতে যে বিষয়টি পরিষ্কার তা হলো,দেহ থেকে ক্ষতিকর ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক সিগন্যালগুলো অপসারণের সর্বোত্তম উপায় হলো সিজদা করা, যা মুসলমানরা পাঁচ বেলা নামাযে করে থাকে।এমন একটি সৃষ্টশীল উপায়ে যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, সেই আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের আদর্শ পথও এটি।
যে মন্তব্যের মাধ্যমে ওই নিবন্ধের সমাপ্তি ঘতে,তা হলো, মানুষের বিশ্বাস করা ও জানা উচিত,তারা স্রষ্ঠার নির্দেশ পালন করতে গিয়ে যা করবে, তা নেহাত নিজের প্রয়োজনেই করবে।



নামাযের আগে কিছুক্ষণ নামাযের মোরাকাবা [নামায সম্পর্কে চিন্তা] করা উচিত। প্রতীক্ষা ছাড়া যে নামায হয় তা হয় প্রাণহীন, হালকা নামায। সুতরাং নামাযের আগে নামায সম্পর্কে চিন্তা করা উচিত।

-----তবলীগ জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা হযরত মৌলানা ইলিয়াস [রহ]

Thursday, February 23, 2017

আপনি কি পূর্ণ এক রাত্রি ইবাদত করার সওয়াব পেতে চান?


বর্তমানে অনেক ইসলামী আন্দোলনের কর্মী ফজরের নামাজে জামায়াতে হাজির হন না।   তাদের জন্য এই হাদিসটি প্রচার হওয়া জরুরী।  

Tuesday, January 10, 2017

জুমার দিনের মর্যাদা নিয়ে কিছু হাদীস


জুম’আর দিন প্রসঙ্গে আরো কিছু সহিহ হাদিস:

রাসুল (সাঃ) বলেনঃ জুম’আর দিনে এমন একটি সময় আছে, যখন বান্দা আল্লাহর কাছে যা চায়, তা-ই তাকে দেওয়া হয়। আর এ সময়টি হল জুম’আর দিন আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত, একটি সময়। [বুখারীঃ ৯৩৫]
হযরত আবু হুরাইরা(রা) হতে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-” যে গোসল করে জুমু’আর উদ্দেশ্যে আসে এবং যে পরিমাণ নফল নামায পড়ার তাওফীক হয় তা পড়ে, এরপর ইমামের খুতবা শেষ হওয়া পর্যন্ত চুপ থাকে এবং ইমামের সঙ্গে নামায আদায় করে, আল্লাহ তা’আলা তার দশ দিনের (সগীরা) গুনাহ মাফ করে দেন।” [সহীহ মুসলিমঃ ১/২৮৩]
জুমুয়ার দিন মুহাম্মদ (সাঃ) এর উম্মত এর জন্য একটি মহান দিন। এ জুম’আর দিনটিকে সম্মান করার জন্য ইহুদী-নাসারাদের উপর ফরজ করা হয়েছিল; কিন্তু তারা মতবিরোধ করে এই দিনটিকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। অতঃপর ইহুদীরা শনিবারকে আর খ্রিষ্টানরা রবিবারকে তাদের ইবাদতের দিন বানিয়েছিল। অবশেষে আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মদ (সাঃ) এর উম্মতের জন্য শুক্রবারকে মহান দিবস ও ফযীলতের দিন হিসেবে দান করেছেন। আর উম্মতে মুহাম্মদী তা গ্রহন করে নিল। [বুখারী ৮৭৬; মুসলিমঃ ৮৫৫]
আবদুল্লাহ ইবনে আমর [রাযি] থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম প্রত্যেক জুমুআর দিনে নিজের গোঁফ ছোট করেতেন এবং আংগুলের নখ কাটতেন। [আখলাকুন নবী [সা], হাদিস নং-৭৭০]
আবু হুরায়রা [রাযি] থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম বলেছেন, জুমুআর দিন মসজিদের দরজায় ফিরিশতারা অবস্থান করেন এবং ক্রমানুসারে আগে আগমনকারীদের নাম লিখতে থাকেন। যে সবার আগে আসে সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে একটি মোটাতাজা উট কুরবানী করে। এরপর যে আসে সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে একটি গাভী কুরবানী করে। এরপর যে আসে সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে একটি দুম্বা কুরবানী করে তারপর আগমনকারী ব্যক্তি মুরগী দানকারীর ন্যায়। এরপর আগমনকারী ব্যক্তি ডিম দানকারীর ন্যায়। তারপর ইমাম যখন [খুৎবার প্রদানের জন্য] বের হন তখন ফিরিশিতা তাঁদের দফতর বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগ সহকারে খুৎবা শুনতে থাকেন। [বুখারি শরীফ হাদিস নং-৮৮২]
আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমআর দিন সূরা কাহ্ফ পড়বে তার জন্য এক জুম’আ থেকে আরেক জুম’আ পর্যন্ত আলো বিচ্ছুরিত হবে। [মুসতাদারেক হাকিমঃ২/৩৯৯, বায়হাকীঃ ৩/২৪৯, ফয়জুল ক্বাদীরঃ৬/১৯৮]
হযরত ইবনে উমর(রা) থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি শুক্রবার দিন সূরা কাহফ পাঠ করবে তার পা থেকে আকাশের উচ্চতা পর্যন্ত নূর হয়ে যাবে, যা কেয়ামতের দিন আলো দিবে এবং বিগত জুমআ থেকে এ জুমআ পর্যন্ত তার সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। [আত তারগীব ওয়া তারহীবঃ ১/২৯৮]
আবু দারদা রাঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, যেব্যক্তি সুরায়ে কাহাফের প্রথম দশটি আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জালের ফেৎনা হতে রক্ষা পাবে। [সহিহ মুসলিম,হাদিসঃ ১৩৪২, মুসনাদু আহমদ,হাদিসঃ২০৭২০, আবু দাউদ,হাদিস- ৩৭৬৫]
হযরত ইয়াযীদ ইবনে আবি মারয়াম(র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একদিন পায়ে হেঁটে জুম’আর জন্য যাচ্ছিলাম। এমন সময় আমার সাথে আবায়া ইবনে রিফায়া (র) এর সাথে সাক্ষাৎ হয়। তিনি বললেন, সুসংবাদ গ্রহণ কর! তোমার এই পদচারণা আল্লাহর পথেই।আমি আবু আবস (রা) কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তির পদদ্বয় আল্লাহর পথে ধূলিময় হলো, তার পদদ্বয় জাহান্নামের জন্য হারাম করা হলো। [জামে তিরমিযি,হাদিস নং-১৬৩৮, সহীহ বুখারী, হাদিস নং-৯০৭]
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, জুম’আতে তিন ধরনের লোক আসে। (ক) যে ব্যক্তি অনর্থক আসে, সে তাই পায় (খ) যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনার জন্য আসে। আল্লাহ চাইলে তাকে দেন, অথবা না দেন (গ) যে ব্যক্তি নীরবে আসে এবং কারু ঘাড় মটকায় না ও কষ্ট দেয় না, তার জন্য এই জুম’আ তার পরবর্তী জুম’আ এমনকি তার পরের তিনদিনের (সগীরা) গোনাহ সমূহের কাফফারা হয়ে থাকে। এ কারণেই আল্লাহ বলেছেন, যে ব্যক্তি একটি নেকীর কাজ করে, তার জন্য দশগুণ প্রতিদান রয়েছে (আন’আম ৬/১৬০)। আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১৩৯৬, অনুচ্ছেদ-৪৪।

Thursday, December 8, 2016

সালাতে মন স্থির রাখার কতিপয় উপায়

সালাতে মন স্থির রাখার কতিপয় উপায়:
১) সালাতের প্রস্তুতি নিয়ে শান্ত মনে আগেভাগে মসজিদে আসা।

২) সালাতে মৃত্যুর কথা স্মরণ করা।

আনাস রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ”সালাতে মৃত্যুর কথা স্মরণ কর। কেননা, মানুষ যখন সালাতে মৃত্যুর কথা স্মরণ করে তখন সে তার সালাতকে সুন্দর ভাবে আদায় করতে সক্ষম হয়। ” (সনদ হাসান, সিলসিলা সহীহাহ/২৮৩৯)
৩) “আমি আল্লাহকে দেখছি বা তিনি আমাকে দেখছেন” এই অনুভূতি মনে জাগ্রত রাখা।
৪) এ কথা স্মরণ করা যে, আল্লাহ তায়ালা সালাতে বান্দার প্রতি উত্তর করে থাকেন।
৫) এ কথা স্মরণ রাখা যে, সালাতে মূলত: আল্লাহর সাথে চুপিসারে কথা বলা হয়।
৬) সালাতে পঠিত দুয়া-তাসবীহ ও সূরা-কিরাতের অর্থ অনুধাবন করা।
৭) খাবার উপস্থিত রেখে বা পেশা-পায়খানা চেপে সালাত আদায় না করা। কেননা, এতে মনোযোগ বিঘ্নিত হয়।
৮) সেজদায় বেশী বেশী আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করা।

রাসূল সা. বলেছন, বান্দা যখন সিজদায় থাকে তখন সে আল্লাহর সব চেয়ে সন্নিকটে থাকে। অত:এব, তোমরা (সিজদা অবস্থায়) অধিক পরিমানে দুয়া কর।” (সহীহ মুসলিম) , তবে একাকী সালাত, নফল, সুন্নত, তাহাজ্জুদ ইত্যাদি ক্ষেত্রে সিজদায় অধিক পরিমাণে দুয়া করা ভালো। কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত দুয়া সমূহ অধিক হারে পড়ার চেষ্টা করতে হবে।

৯) হাই আসলে মুখে হাত দিয়ে যথা সম্ভব তা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করা।
১০) সিজদার স্থানে দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখা এবং অন্য দিকে দৃষ্টিপাত না করা।
১১) ভয়-ভীতি ও ধীর স্থিরতা সহকারে সালাত আদায় করা।
১২) শয়তানের উপস্থিতি টের পেলে চুপি স্বরে আউযুবিল্লাহ.. পাঠ করা ও বাম দিকে অতি হালকা ভাবে তিনবার থুথু নিক্ষেপ করা।

আমর ইবনুল আস থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করলাম: হে আল্লাহর রাসূল, শয়তান আমার সালাত ও কেরাআতে বিঘ্ন সৃষ্টি করে দেয়। তিনি বললেন: এটি হল শয়তান। যার নাম খিনযাব। তুমি যদি এমনটি অনুভব কর, তবে “আউযু বিল্লাহি মিনাশ শয়তানির রাজীম পাঠ কর এবং তোমার বাম পাশে তিনবার হালকা ভাবে থুথু নিক্ষেপ কর।” তিনি বলেন, আমি এমনটি করায় আল্লাহ তায়ালা আমার এ সমস্যা দূর করে দিয়েছেন। (সহীহ মুসলিম)

উল্লেখ্য যে, শরীর বা কাঁধ বাম দিকে ঘুরার প্রয়োজন নাই। কেবল মাথাটা সামান্য বাম দিকে নিয়ে খুব হালকা ভাবে থুথু ফেলার মত করবে। (এতে মুখ থেকে পানি নির্গত হবে না।) এমনটি করলে শয়তান লাঞ্ছিত অবস্থায় পলায়ন করবে ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে তাওফীক দান করুন। আমীন।

Popular Posts