Thursday, November 21, 2019

কাশ্মীরের স্বাধীনতার জিহাদে জামায়াতে ইসলামী

-  শাহাদাতুর   রহমান   সোহেল  


কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্থান জামায়াতে ইসলামীর সম্মানিত আমীর ড. মাওঃ সিরাজুল হক সাহেবের হুংকার। - নারায়ে তাকবীর,আল্লাহু আকবার। কাশ্মীর আজাদী। কাশ্মীরের সবচেয়ে বড় মুজাহিদ সংগঠন হেজবুল মুজাহেদীন পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর সাথে সম্পৃক্ত সংগঠন। ভিডিওতে এর নেতা নেতা সৈয়দ সালাউদ্দীনকে দেখা যাচ্ছে: 
(একবার ক্লিক করে ভিডিও চালু না হলে ২য় বার ক্লিক করুন)

১৩টি  মুজাহিদ সংগঠন সমন্বয়ে যে সম্মিলিত জিহাদ কাউন্সিল (United Jihad Council, also known as the Muttahida Jihad Council (MJC)) গঠিত হয়েছে তার নেতৃত্ব দিচ্ছে এই  সৈয়দ সালাউদ্দীন পরিচালিত মুজাহিদ সংগঠন হিজবুল মুজাহেদীন। কারগিল জিহাদে নেতৃত্ব প্রদান করে কাশ্মীর হিজবুল মুজাহেদীন। এ জিহাদে কাশ্মীরি মুজাহিদরা বড় ধরণের সফলতা লাভ করেছিল। পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ শরীফ পিছন থেকে পাকিস্তানের সহযোগিতা প্রত্যাহার ও মুজাহিদদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা না করলে আরো বিরাট সফলতা লাভের সম্ভাবনা ছিল। কাশ্মীর হিজবুল মুজাহেদীন কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী সর্বদলীয় হুরিয়াত কনফারেন্স (All Parties Hurriyat Conference)-এর নেতৃস্থানীয় সদস্য সংগঠন। সর্বদলীয় হুরিয়াত কনফারেন্সের চেয়ারম্যান ছিলেন সৈয়দ আলী শাহ জিলানী। তিনি দীর্ঘদিন কাশ্মীর জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্ব পদে অভিষিক্ত ছিলেন। পরে তিনি তেহরিক-ই-হুরিয়াত গঠন করেন।   তারপরও সৈয়দ আলী গিলানীকে জামায়াতের ইসলামী  বিশেষ ক্যাটাগরিতে দলের সদস্য হিসেবে দাবী করে অর্থাৎ জামায়াত ও তেহরিক-ই-হুরিয়াত এই দুই সংগঠনের যুগপৎ সদস্য হিসেবে কাজ করেন সৈয়দ গিলানী।  ২০০৪ সালে তেহরিক-ই-হুরিয়াত ও জামায়াতে ইসলামী এক সমঝোতায় আসে।  সে অনুসারে গিলানীসহ ছয়জন নেতাকে এই দ্বি-দলীয় সদস্য হিসেবে গ্রহণ করে জামায়াতে ইসলামী কাশ্মীর। ১ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে অসুস্থতার কারণে মৃত্যু বরণ করেন এই নেতা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। তাঁর মৃত্যুতে সরকারীভাবে  সমস্ত পাকিস্তানে জাতীয় শোক পালিত হয়।
 জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি দলের নেত্রী মেহবুবা মুফতি ট্যুইট করে বলেন, 'গিলানি সাহেবের মৃত্যুর খবরে মর্মাহত। আমরা হয়ত অধিকাংশ বিষয়ে একমত নই, কিন্তু তাঁর অবিচলতার জন্য এবং তার বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে থাকার জন্য আমি তাকে শ্রদ্ধা করি। কামনা করি, আল্লাহ যেন তাকে জন্নতে জায়গা দেন এবং তার পরিবার ও শুভাকাঙ্খীদের প্রতি সমবেদনা জানাই।'

পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমির সিরাজ উল হক সৈয়দ আলী গিলানি সম্পর্কে তার ভাবনা শেয়ার করছেন:

বিঃ দ্রঃ নবী পাক (সাঃ) -এর মুক্ত করা গোলাম সাওবান (রাঃ) বলেন: নবী (সাঃ) বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে দু'টি সৈন্যদল এমন যাদেরকে আল্লাহ আগুন থেকে রক্ষা করেছেন।   একদল তারা যারা হিন্দুস্থানের ওপর হামলা চালাবে এবং অন্যদল ঈসা ইবনে মরিয়মের সাথে থাকবে (নাসায়ী -কিতাবুল জিহাদ, মুসনাদে আহমদ) হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) হিন্দুস্তানের কথা উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন,“অবশ্যই আমাদের একটি দল হিন্দুস্তানের সাথে যুদ্ধ করবে, আল্লাহ্ সেই দলের যোদ্ধাদের সফলতা দান করবেন আর তারা রাজাদের শিকল/বেড়ি দিয়ে টেনে আনবে । আল্লাহ্ সেই যোদ্ধাদের ক্ষমা করে দিবেন (এই বরকতময় যুদ্ধের দরুন) এবং সে মুসলিমেরা ফিরে আসবে তারা ঈসা ইবন-ই-মারিয়াম কে সিরিয়ায় (শাম) পাবে” (মুসনাদে আহমদ, ইমাম নিসাই (রঃ) ‘আস সুনান আল মুজতাবা’ ) । হাদীসে বর্ণিত গাযওয়ায়ে হিন্দে হিন্দুস্থানের সাথে মুসলমানদের যে ইসলামী জিহাদের কথা বলা হয়েছে (এই জিহাদে মুসলমানরা শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হবে) তার এক অগ্রবর্তী জিহাদ হচ্ছে কাশ্মীর জিহাদ। এই জিহাদে নেতৃস্থানীয় অবস্থানে আছে জামায়াতে ইসলামী।  আলহামদুল্লিাহ।   মহান আল্লাহ  দুনিয়া ও আখেরাতে উত্তম সাফল্য দান করুন, আমীন।  

Popular Posts