তুরস্কে অনুষ্ঠিত হওয়া ESAM কনফারেন্সে সমগ্র পৃথিবীর ইসলামিক সংগঠন ও ইসলামিক স্কলারগণ একত্রিত হন। সেখানে অংশগ্রহন করেন শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ব্যারিষ্টার নাজেব মোমেন। তিনি তার বাবা শহীদ নিজামীর জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন, সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের।
- Home
- All links
- Books
- Syllabus of Jamaat
- Ebook of Syllabus
- Ebook of Allama Syed Abul Ala Maududi
- Ebbok of Maolana Matiur Rahman Nizami
- Ebbok of AKM Nazir Ahmed
- Ebook of Muhammad Kamaruzzaman
- Ebook of Allama Yusuf Al Qarawi
- Ebook of Sayyid Qutb Shaheed
- Ebook of Allama Delwar Hossain Sayedee
- Ebook of Professor Ghulam Azam
- Ebook of Abbas Ali Khan
- Ebook of Maulana Muhammad Abdur Rahim
- Ebook of Haron Yahya Turkish
- Book of Anti-Atheism
- Subjects
- Jamaat-e-Islami
- Islami Chhatrashibir
- Prominent's opinion
- Success of Jamaat
- About us
Wednesday, June 14, 2017
Wednesday, May 24, 2017
মরক্কোয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের বিপুল বিজয়
রাবাত থেকে এএফপি : মরক্কোর মধ্যপন্থী ইসলামী দল গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রথমবারের মত বিপুল বিজয় অর্জন করেছে। গত শনিবারে প্রকাশিত আংশিক নির্বাচনী ফলাফলে আরব বিপ্লবের সূত্র ধরে এই অভাবিতপূর্ব বিজয় লাভ করেছে। গত এক মাস পূর্বেকার নিউনিশিয়ায় অনুষ্ঠিত বিপ্লবোত্তর নির্বাচনে ইসলামপন্থী দলের বিজয় এবং মিসরে বিপ্লবের মাতাল হাওয়া বয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে মরক্কোর ইসলামী দলের এ বিপুল বিজয় অর্জিত হলো। মোট ৩৯৫ আসনের মধ্যে ২৮৮টির ফলাফলে শনিবার এ তথ্য পাওয়া গেছে।
জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (পিজেডি) এর প্রধান আব্দেল্লাহ বেনকিরানে বলেছেন, গণতন্ত্র ও সুশাসন নিশ্চিত করতে অন্য দলগুলোকে নিয়ে জোট সরকার গঠন করা হবে। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ বিজয়ী দলের পক্ষ থেকে একজনকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করবেন। গতকালের এ নির্বাচনে নিবন্ধিত ভোটার সংখ্যা ছিল এক কোটি ৩৬ লাখ এবং এতে শতকরা ৪৫ ভাগ ভোট পড়েছে। নির্বাচনে মোট প্রার্থী ছিলেন সাত হাজার।
পিজেডি সরকার গঠন করলে এটা হবে উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরুর পর দ্বিতীয় কোনো দেশে ইসলামী দলের শাসন ক্ষমতায় আসার ঘটনা। এর আগে তিউনিশিয়ায় ইসলামী আন-নেহদাহ দলের নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়েছে।
মরক্কোর ইসলামী দল পিজেডি'র বেশিরভাগ সমর্থক তুলনামূলক গরিব শ্রেণীর এবং দলটি ক্ষমতায় গেলে ইসলামী অর্থনীতি এবং সমাজে ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। ১৯৫৬ সালে ফ্রান্স থেকে স্বাধীনতা লাভের পর মরক্কোয় এ নিয়ে নয়বার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। ২০০৭ সালে সর্বশেষ নির্বাচন হয় এবং সেবার শতকরা ৩৭ ভাগ ভোট পড়েছিল।
উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু হলে মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ তার দেশে সম্ভাব্য আন্দোলন ঠেকানোর কৌশল হিসেবে শাসন ব্যবস্থায় তড়িঘড়ি কিছু সংস্কার আনেন। তবে, এখনো তিনিই দেশটির অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও ধর্মীয় বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়ার মালিক। মরক্কোর বেশ কয়েকটি দল এ সংস্কারকে যথেষ্ট নয় বলে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং নির্বাচনেও অংশ নেয়নি।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তৈয়ব চেরকাউই নির্বাচনোত্তর আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ইসলামপন্থী জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (পিজেডি) ৮০টি আসনে বিজয়ী হয়েছে। দলটি ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী আববাস আল ফাসির ইন্ডিপেন্ডেন্ট পার্টির চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ আসন পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দল জিতেছে ৪৫টি আসনে। এ দলটি গত ২০০৭ সাল থেকে পাঁচ দলীয় জোট সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছে। গতকাল রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের কথা। পিজেডির সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল্লাহ বেনকিরানে সাংবাদিকদের জানান, আমরা মরক্কোবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই, তারাই ভোট দিয়ে আমাদের প্রার্থীদের বিজয়ী করেছেন। আমরা এতে দারুণ সন্তুষ্ট।
আংশিক ফলাফল ঘোষণার পরপরই প্রাকৃতিক নয়নাভিরাম সাগর সৈকতবিধৌত রাজধানী শহর রাবাতের রাস্তায় রাস্তায় ব্যাপক আলোকসজ্জা, আতশবাজি, গাড়ির হর্ন বাজিয়ে এবং পার্টির প্রতীক সম্বলিত বর্ণিল ফেস্টুন উড়িয়ে সমর্থকরা আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করতে থাকে।
গত জুলাইয়ে একটি নতুন সংবিধানের দোহাই দিয়ে একতরফাভাবে গণভোট নাটকের মাধ্যমে বাদশাহ ৬ষ্ঠ মোহাম্মদ প্রধানমন্ত্রীর আসন পাকাপোক্ত করেন অধিকাংশ আসন কব্জা করে। গত মার্চে তিনি সংবিধান পরিবর্তনের ঘোষণা দিলে তিউনিশিয়ায় মিসর ও লিবিয়ার মত গণজাগরণের কাছে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হন। অবসান ঘটে দীর্ঘদিনের স্বৈরতন্ত্রের। প্রায় সাড়ে তিনশ' বছরের সুপ্রাচীন একনায়কতন্ত্রের সর্বশেষ উত্তরাধিকারী হিসেবে রাজা ৬ষ্ঠ মোহাম্মদের পতন ঘটে। নয়া সংবিধানে তার বিশাল ক্ষমতার অনেকগুলোর ওপর কার্যত নিয়ন্ত্রণ আরোপিত হয়। পিজেডি প্রধান বলেন, তারা অন্যান্য দলের সাথে জোটবদ্ধ হবার পর দলের সদস্যপদ সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
বেনকিরানে দ্য ফ্রান্স টুয়েন্টি ফোর টিভি চ্যানেলকে বলেন, আমাদের দলীয় কর্মসূচি এবং ভবিষ্যৎ সরকারে যারা আমাদের সাথে জোটবদ্ধভাবে দায়িত্ব পালন করবেন তাদেরকে নিয়ে আমরা গণতন্ত্র এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজের পরিমাণ দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়া হবে। তিনি বলেন, পিজেডি মরক্কোয় তার স্পেভাটার সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি করে এতদাঞ্চলে দেশটিকে একটি সমৃদ্ধ ও স্থিতিশীল দৃঢ় অবস্থানে উন্নীত করবে। পিজেডি তাদের সামাজিক কর্মসূচির মধ্যে গ্রীষ্মকালীন সঙ্গীতানুষ্ঠান এবং মদ বিক্রির ওপর আপত্তি উত্থাপন করে। কিন্তু পরবর্তীতে তারা বৃহত্তর জনমতের বিষয় বিবেচনা করে এবং বেকারত্ব ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলে সে অবস্থান থেকে সরে আসে। এবারের নির্বাচনী প্রচারণাকালে সাধারণ ভোটারদের কাছে প্রতিশ্রুতি দেয় যে, দারিদ্র্যকে অন্তত অর্ধেকে হ্রাস করে এবং চাকরির ক্ষেত্রে বেতন কমপক্ষে শতকরা ৫০ ভাগ বাড়ানো হবে।
Source: www.dailysangram.com
প্রকাশিত: সোমবার ২৮ নবেম্বর ২০১১ | প্রিন্ট সংস্করণ
Saturday, May 20, 2017
Thursday, May 18, 2017
Wednesday, April 12, 2017
বিশ্বের ২২ জন লিভিং ঈগলের একজন বাংলাদেশী: ঈসরাইলের সবচেয়ে বেশী সংখ্যক বিমান ধ্বংশকারী
প্যালেস্টাইনীদের সংগ্রাম নিয়ে পড়তে পড়তে হঠাৎ করেই একজন পরিচিত বাংলাদেশীর নাম পেলাম। ইসরাইলের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক যুদ্ধ বিমানকে ভুপাতিত করার রেকর্ডটা ৪৮ বছর যাবৎ উনার দখলে! ভদ্রলোক চারটি পৃথক দেশের বিমান বাহিনীকে সার্ভিস দিয়েছেন, তিনটি ভিন্ন দেশের হয়ে যুদ্ধ করে শত্রুপক্ষের বিমান ধ্বংশ করেছেন এবং তিনটি দেশ থেকেবীরত্বসূচক খেতাব পেয়েছেন! এটাও একটা বিশ্ব রেকর্ড! যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে উনাকে পৃথিবীর জীবিত ২২ জন 'লিভিং ঈগল' হিসেবে তালিকাভূক্ত করা হয়েছে!
তিনি এখনো জীবিত আছেন, বাংলাদেশেই আছেন। আমরা ক'জন তাঁকে চিনি? আমরা মুছা ইব্রাহিমের মিথ্যা এভারেস্ট জয়ের কাহিনী শিশুপাঠ্য করি, যাতে করে আগামী প্রজন্ম প্রতারক হতে পারে। কিন্তু সাইফুল আজমদের উপেক্ষা করি, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ কখনো বীর হবার উৎসাহ না পায়। Akm Wahiduzzaman পোস্টটির পড়ার পর বাকিটা কৌতূহল নিয়ে খুঁজে বের করলাম এই জীবন্ত কিংবদন্তীকে... এই জীবন্ত কিংবদন্তী হচ্ছেন "স্যার সাইফুল আজম"...
সাইফুল আজম ১৯৪১ সালে পাবনা জেলার খগড়বাড়িয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পর ১৯৫৬ সালে তিনি পশ্চিম পাকিস্তান যান। ১৯৬০ সালে তিনি জিডি পাইলট ব্রাঞ্চের একজন পাইলট হন।
জুন ৬ , ১৯৬৭। আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ চলছে। তৎকালীন পাকিস্তান এয়ারফোর্স থেকে ডেপুটেশনে আসা গ্রুপ ক্যাপ্টেন সাইফুল আজম পশ্চিম ইরাকের এক বিমান ঘাটিতে অবস্থান করছে। অনেকটা ভোজবাজির মতোই আকাশে চারটা ইজ্রায়েলি বিমানের ( যাদের কে এস্কোর্ট করছিলো দুইটা ইস্রায়েলি মিরেজ ফাইটার ) উদয় হয়। আকস্মিক আক্রমণে ইরাকি এয়ারফোর্স
বিপর্জস্ত ।ইসারায়েলি ক্যাপ্টেন ড্রোর একের পর এক ইরাকি বিমানের ভবলীলা সাংগ করে চলেছে। তার সাথে সঙ্গী হিসাবে আছে আরেক ইজ্রায়েলি ক্যাপ্টেন গোলান। এই অবস্থায় আকাশে উড়াল দেয় সাইফুল আজম। উড়াল দেবার কিছুক্ষণের মাঝেই তার উইংম্যান কেও ফেলে দেয় ইজ্রায়েলি ক্যাপ্টেন ড্রোর। কিন্তু সাইফুল আজম অন্য ধাতুতে গড়া। একে একে গোলান, ড্রোর সবার প্লেন ফেলে দেয় সে। মোটামুটি একা লড়াই করে ইজ্রায়েলি বিমান গুলোকে ইরাকের আকাশ ছাড়তে বাধ্য করে সে। ক্যাপ্টেন ড্রোর এবং গোলান কে পরে যুদ্ধবন্দী হিসাবে আটক রাখা হয়।
এখন পর্যন্ত আধুনিক যুদ্ধের ইতিহাসে ইসরায়েলের সর্বোচ্চ সংখ্যক বিমান ঘায়েল করার রেকর্ড ক্যাপ্টেন সাইফুল আজমের।
এছাড়া প্রথম বিশবযুদ্ধ থেকে শুরু করে এপর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যক শত্রুপক্ষের বিমান ঘায়েল করার রেকর্ড এর তালিকায় ও তিনি উপরের দিকে আছেন। আরব-ইস্রায়েল যুদ্ধে অসাধারণ অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ জর্দান-ইরাক-পাকিস্তান তাকে বীরত্ব সূচক পদকে ভূষিত করে। তিনটি দেশের সম্মান সূচক সামরিক পদক অর্জনের ঘটনা সামরিক ইতিহাসে বিরল। একই সাথে তিনটি দেশের হয়ে যুদ্ধ করা এবং একই ব্যাক্তির দ্বারা একের অধিক শ্ত্রু রাষ্ট্রের (ভারত এবং ইসরায়েল) বিমান ভূপাতিত করার বিরল রেকর্ডের অধিকারীও এই একই ব্যাক্তি।
১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের সময় তাকে সাময়িক ভাবে সারাগোধাতে অবস্থিত ১৭ স্কোয়াড্রন এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সাইফুল আযম এ সময় এফ-৮৬ স্যাবর জেট বিমান এর পাইলট হিসেবে প্রধানত পদাতিক সহায়ক মিশন পরিচালনা করতেন। ১৯৬৫ সালের ১৯ এ সেপ্টেম্বর বিখ্যাত চাবিন্দা ট্যাংক যুদ্ধে অংশ নেন তিনি এবং বিমান থেকে রকেট ও গোলা বর্ষন করে একাধিক ভারতিয় ট্যাংককে ধ্বংস ও অকার্যকর করেন। এসময় চারটি ভারতিয় ”Gnat”জঙ্গি বিমান তাদের উপর আক্রমন করে। সাধারন ভাবে বিমান থেকে ভুমিতে যুদ্ধের উপযোগি অস্ত্র সজ্জিত থাকায় এসময় পাকিস্তানি বিমানগুলির পালিয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু ফ্লাইট লেফটেনান্ট সাইফুল আযম রুখে দাড়ান এবং বিমান যুদ্ধ বা ডগ ফাইটে একটি ভারতিয় ”Gnat” জঙ্গি বিমান ভুপাতিত করেন। এই কৃতিত্বের জন্য তাকে পাকিস্তানে ”সিতারা-ইজুরায়ত” (বাংলাদেশের বীরবিক্রম এর সমতুল্য, পাকিস্তানের তৃতীয় সামরিক বীরত্বের খেতাব) পদকে ভুষিত করা হয়।
১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তিনি চারটি F-86 Sabre এর ফরমেশনে অংশ নিয়ে ভারতের ভূমীতে আক্রমণের উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করেন। হঠাৎ দুইটি ভারতীয় Folland Gnat (Folland Gnat, F-86 এর চেয়ে Superior) তাদের পথ রোধ করে। ঘটনার জেরে সৃষ্ট ডগফাইটে সাইফুল আজম একটি Folland Gnat গোলাবর্ষণ করে ভূপাতিত করেন (পাইলট,ফ্লাইং অফিসার ভি মায়াদেব নিরাপদে Ejectকরে বেরিয়ে আসলে তাকে যুদ্ধবন্দি করা হয়). অন্য Folland Gnat টি রনেভঙ্গ দিয়েছে বুঝতে পারার পর সেটিকে পালিয়ে যেতে দেওয়া হয়।
১৯৬৬ সালের নভেম্বর মাসে তৎকালীন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সাইফুল আজম এবং অপর আরেক জন পাকিস্তানী বিমান বাহিনীর অফিসার ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সারওয়ার সাদকে রাজকীয় জর্ডান বিমান বাহিনীতে প্রেষণে প্রেরণ করা হয়। সেখানে তারা রাজকীয় জর্ডান বিমান বাহিনীর Hawker Hunter অপারেট করতেন। তারা সেখানে ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। ৫জুন ১৯৬৭ সালে আল মাফরাক থেকে উড্ডয়নের পর ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সাইফুল আজম একটি Mystere IV কে তার দ্বিতীয়শিকারে পরিণত করেন। এই ঘটনার মাত্র দুই দিন পর, ৭ জুন ১৯৬৭ ইরাকী বিমান বাহিনীতে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে পশ্চিম ইরাকী এয়ার ফিল্ড H-3 এ তিনি অবস্থান করাকালে, ইসরাইলী জঙ্গি জেট এয়ার ফিল্ড H-3 আক্রমণ করে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সাইফুল আজম ইরাকী Hawker
Hunter বিমান নিয়ে উড্ডয়ন করে একটি Mirage III এবং একটি Vautour Bomber ভূপাতিত করেন (Vautour Bomber টির ছোট্ট কিছু ভগ্নাবশেষ সাইফুল আজমের Hunter এ গেঁথে থাকতে দেখা যায়, যা থেকে তার সহকর্মীরা বুঝতে পারেন তিনি বিমানটিকে আকাশেই গুড়িয়ে দিয়েছেন)। উল্লেখ্য Mirage III সাইফুল আজমের Hawker Hunter এর তুলনায় বহুগুণে Superior। এছাড়া Mystere IV ও এয়ার টু এয়ার কমব্যাটের ক্ষেত্রে Hawker Hunter এর চেয়ে Superior। Mirage III, Mystere IV সাইফুল আজমের Skill, Tactics ও সাহসের কাছে পরাস্ত হয়েছে। কিন্তু সাইফুল আযম ও তার স্কোয়াড্রন সাফল্য লাভ করলেও অন্যান্য জর্দানি বিমানগুলি ব্যার্থ হয় এবং ইসরাইলি বোমা বর্ষনে বেশিরভাগ জর্দানি বিমান ভুমিতেই ধ্বংস হয়ে যায় ও রানওয়েগুলি ক্ষতি গ্রস্ত হয়।
সাইফুল আযম তার সাফল্যের জন্য জর্দানিদের প্রসংশা ও শ্রদ্ধা পান। বাদশাহ হুসাইন তার নিজের গাড়িতে করে সাইফুল আযমকে তার মেস এরৎ পেীছিয়ে দেন। জর্দান থেকে আর উড্ড্য়ন সম্ভব না হওয়ায় জর্দানি বিমান বাহিনীর পাইলটরা প্রতিবেশি ইরাকি বিমান বাহিনীতে সহায়তার সিদ্ধান্ত নেয়।
সাইফুল আযম আবারও পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার পরিবর্তে ইরাকি বিমান বাহিনীর হয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন। এবারও দক্ষতার পরিচয় দিয়ে ইরাকি বিমান বাহিনীর হকার হান্টার বিমান নিয়ে তিনি তৎকালিন সর্বাধুনিক ফ্রান্সের "মিরেজ-৩সি" বিমান ভুপাতিত করেন। তিনি একটি ”ভেটর”বোমারু বিমানও ভুপাতিত করেন। তার অসাধারণ কৌশল ও সাহসিকতায় মুগ্ধ হয়ে জর্দান সরকার ”ওয়াসমা ই ইস্তেকলাল” বা স্বাধিনতা পদক এবং ইরাক কর্তক ”নওয়াত-ই সুজ্জাত” পদকে ভুষিত করে। জর্ডান ও ইরাক উভয় দেশই তাকে বীর পদক প্রদান করে।
১৯৭১ সালে বাঙ্গালী হওয়ায় তাকে পাকিস্তান বিমান বাহিনী Grounded করে। পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন হয়ে বাংলাদেশের জন্ম হলে তিনি নতুন গঠিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর Director of Flight Safety এবং পরবর্তীতে Director of Operation হিসেবে নিয়োগ পান।
১৯৭৭ সালে তিনি উইং কমান্ডার পদে পদোন্নতি পান এবং ঢাকা বিমান বাহিনী ঘাটির বেস কমান্ডার হন। ১৯৮০ সালে সাইফুল আজম বাংলাদেশ বিমান বাহিনী থেকে গ্রুপ ক্যাপ্টেন পদে অবসর গ্রহণ করেন। অবসর গ্রহণ করার পর তিনি দুই টার্মে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি Film Development Corporation এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকও ছিলেন।
তিনি ১৯৯১-৯৬ সালে পাবনা-৩ আসন থেকে (চাটমোহর উপজেলা, ফরিদপুর উপজেলা ও ভাঙ্গুরা উপজেলা) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (BNP) পক্ষে পঞ্চম জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি বর্তমানে নাতাশা ট্রেডিং এজেন্সি, লিঃ (এয়ার ক্রাফট ও অন্যান্য যন্ত্রপাতির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি একটি ট্রাভেল এজেন্সিও পরিচালনা করেন। স্ত্রী নাতাশা, তিন সন্তানের জনক তিনি।
২০০১ সালে তাকে যুক্তরাষ্ট্র বিমান বাহিনী বিশেষ সম্মাননা প্রদান করে। তিনি বাইশ জন “Living Eagles”এর একজন। - রসিক হাকিম
See this video:
Subscribe to:
Posts (Atom)
Popular Posts
-
(জবাবদানকারী একজন ক্বওমী আলেম:) বন্ধুরা, ফেসবুক খুললেই দেখা যায়, মওদুদী ছাহাবা বিদ্বেষী, জামায়াত শিবির সাহাবা বিদ্বেষী, বিশেষ করে লা মা...
-
Official Website: Bangla: https://jamaat-e-islami.org English: https://www.jamaat-e-islami.org/en/ E-book: www.bjilibrary.c...
-
- শাহাদাতুর রহমান সোহেল পবিত্র কোরআনের র্নিদেশ হচ্ছে : তোমার সংঘবদ্ধভাবে আল্লাহর রজ্জু ( অর্থাৎ ইসলাম বা কোর...