লিখেছেনঃ জীবন রহমান হৃদয়
সৌদি বাদশাহ এর আমন্ত্রণে ১৯৬১ সালের ডিসেম্বর মাসে রিয়াদে পৌঁছেন সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদূদী(রঃ)। আলোচনার এক পর্যায়ে বাদশাহ আশাবাদ ব্যক্ত করেন মদিনায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার। আর এ জন্য একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করে দিতে অনুরোধ করেন মাওলানা মওদূদী(রঃ) কে।
১৯৬১ সালের ২১ ডিসেম্বর একটি পরিকল্পনা খসড়া রচনা করেন সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদূদী(রঃ)। সাথে চৌধুরী গোলাম মুহাম্মাদ ও খলিল আহমাদ হামিদী কে নিয়ে বাদশাহর প্রাসাদে গিয়ে তা পেশ করেন।
পরিকল্পনা খসড়ার(পরবর্তীতে এটাই সংবিধান) শুরুতে তিনি উল্লেখ করেন-
"এটি এমন এক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় হবে,যেখান থেকে তৈরী আলেমরা সারা বিশ্বের সকল সমস্যার সমাধানে সক্ষম হবে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৩ টি স্তরে ৯ বছরের শিক্ষা কার্যক্রম থাকবে। ১ম স্তরঃ ৪ বছরের।এখানে শিক্ষার্থীরা কুরআন, হাদীস, ফিকাহ, ইসলামের ইতিহাস ও সমাজ বিজ্ঞান অধ্যয়ন করবে। ২য় স্তর ৩ বছরের। এখানে থাকবে ৫টি ফ্যাকাল্টি। ৩য় স্তর ২ বছরের। এই স্তরে কোন স্কলার পূর্বের দুই স্তরের যেকোনো বিষয়ে গবেষণা করতে পারবে।"
পরিকল্পনা খসড়াটি বাদশার এতটাই পছন্দ হয় যে সঙ্গে সঙ্গে খসড়া বাস্তবায়নে সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদূদী(রঃ) এর সাথে শায়েখ মোহাম্মদ আকবর, শায়েখ আব্দুল লতিফ, শায়েখ মোহাম্মদ আলী আল্ হারাকান কে নির্দেশ দেন। শুরু হয়ে যায় পুরোদমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম।
১৯৬২ সালের জানুয়ারী মাসে মাওলানা দেশে ফিরে আসেন! কিন্তু মদিনা ইউনিভার্সিটির এক জরুরী প্রোগ্রামে উপস্থিত থাকবার জন্য মাওলানা কে আবারও আমন্ত্রণ জানান সৌদি বাদশাহ। ফলে ১৯৬২ সালের মে মাসে আবারও মদিনা মনোয়ারায় উপস্থিত হন মুজাদ্দেদ সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদূদী(রঃ)।
স্থাপনের প্রথমে মদিনা ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর নিযুক্ত করা হয় শায়েখ মোহাম্মদ আলী আল্ হারাকান কে। পরবর্তীতে ভাইস চ্যান্সেলর নিযুক্ত করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল পরিকল্পনাকারী ও সংবিধান প্রণয়নকারী সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদূদী(রঃ)। তিনি মৃত্যু অবধি উক্ত সম্মানিত পদে বহাল ছিলেন!
১৯৬২ সালের মে মাসেই প্রতিষ্ঠা হয় বিশ্বখ্যাত সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান 'রাবেতা আলমে আল ইসলামী'।
৩ নাম্বার ছবিতে সেই প্রতিষ্ঠা কমিটির দস্তখত সম্বলিত নথি। সবার মাঝে সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদূদী রহমাতুল্লাহি আলাইহির দস্তখত।
মাশাআল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ।
ReplyDeleteMasa-Allah, Alhamdulillah.
মাশাআল্লাহ
ReplyDelete