জাতীয় সংসদে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি দেয়া নিয়ে রাশেদ খান মেননের বক্তব্যের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘কেউ কেউ বলেন, মাদ্রাসা জঙ্গিবাদ সৃষ্টির কারখানা, এটা সঠিক নয়। হলি আর্টিজানে যে হামলা হলো সেখানে কারা জড়িত? তারা তো কেউ মাদ্রাসা শিক্ষিত না। সবাই তো উচ্চ শিক্ষিত।’
‘আমার মনে হয়, তাদের জীবনে পাওয়ার আর কিছু বাকি নেই। পাওয়ার জায়গাটি হারিয়ে গিয়ে তারা জঙ্গিবাদে জড়িয়ে যাচ্ছে। এজন্য শুধু মাদ্রাসা শিক্ষিতদের দোষারোপ করলে হবে না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মাদ্রাসা জঙ্গিবাদ সৃষ্টির কারখানা নয়, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ অন্যদের দ্বারা ব্যবহার হতে পারেন।
সোমবার রাতে জাতীয় সংসদে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। একাদশ জাতীয় সংসদের সমাপনী ভাষণ দেন সংসদ নেত্রী।
গত ৩ মার্চ জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ওপর দেয়া ভাষণে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাকে ‘বিষবৃক্ষ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। কওমি সনদের স্বীকৃতি দেয়ারও সমালোচনা করেন। তার এই বক্তব্যের ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়। হেফাজতে ইসলাম রাজপথে বিক্ষোভ করেছে এবং কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি দেয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা কি তাদের ফেলে দেব? তারা তো আমাদের দেশেরই নাগরিক। বিশ্ব যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন তারা কেন পিছিয়ে থাকবে। তাদের মেধাকে আমরা কেন কাজে লাগাবো না?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে সরকারি স্বীকৃতি দেয়া আমাদের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার ফসল। তারা দেওবন্দের কারিকুলাম অনুসরণ করছে। দেওবন্দ ভারতে স্বীকৃত একটি কারিকুলাম।’
এ সময় তিনি দেওবন্দি ধারার প্রশংসা করে বলেন, ‘এই দেওবন্দ কারা? তারা কিন্তু ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, সিপাহি আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত। সুতরাং তাদেরকে স্বীকৃতি দিয়ে কোনো অন্যায় করিনি।’
Source: https://dailyvorersurjo.com
No comments:
Post a Comment